অতি উত্তপ্ত এই বিশ্ব আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে ৬৬ শতাংশ।
বিদেশি ভাষা শিখে কাজের সুযোগ নানাভাবে
২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল দেশগুলো।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা যাবে।
গত কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন যে বিশ্বের তাপমাত্রা যদি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমায় পৌঁছে যায় তাহলে তার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে।
কিন্তু ২০১৮ সালে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেই তা বিশ্বের জন্য ভয়াবহ হবে।
কেবিন ক্রু: বিমানপথে আতিথেয়তার পেশা
এখন গবেষকরা বলছেন যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এই সীমা ছাড়িয়ে যাবে। তাঁরা ৯৮% নিশ্চিত যে ২০২৭ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা সীমা অতিক্রম করবে।
এল নিনোর দুটি মূল উপাদান রয়েছে –
প্রথমটি হলো মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে থেকে ক্রমাগত উচ্চ স্তরের কার্বন নির্গমন যা মহামারী চলার সময় কমলেও এখন বাড়ছে।
দ্বিতীয় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা হলো এল নিনোর সম্ভাব্য উপস্থিতি। আবহাওয়ায় এল নিনো সক্রিয় থাকলে মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উষ্ণতা বাড়ে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শিল্প বিপ্লব শুরুর আগে বিশ্বের যে তাপমাত্রা ছিল তার থেকে
বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা গেলে বড় ধরণের বিপদ এড়ানো যাবে। তা না পারলে বিপজ্জনক হয়ে পড়বে প্রকৃতি, পরিবেশ এবং মানুষের জীবন।
ব্রিটেনে বৃষ্টিপাতের মাত্রা প্রচণ্ডভাবে বেড়ে গিয়ে ঘনঘন বন্যা হবে।
সাগরের উচ্চতা বেড়ে প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের ছোট অনেক দ্বীপ বা দ্বীপরাষ্ট্র বিলীন হয়ে যেতে পারে।
আফ্রিকার অনেক দেশে খরার প্রকোপ বাড়তে পারে এবং পরিণতিতে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় অতিরিক্ত গরম পড়তে পারে এবং খরার প্রকোপ দেখা দিতে পারে।
El Niño