কোভিড পরিস্থিতির পর সরকারি চাকরির ভবিষ্যৎ কোথায় দাঁড়িয়ে

schedule
2021-01-08 | 06:16h
update
2021-02-05 | 07:34h
person
জীবিকা দিশারী
domain
জীবিকা দিশারী

সরকারি চাকরি বিষয়ক একাধিক বিষয় নিয়ে আমি নিজের ভাবনাচিন্তার কথা আপনাদের জানাবো, আশা করবো লক্ষ্ লক্ষ চাকরি প্রার্থীদের এই নানান বিষয়ে আলোচনা অনেকটা কাজে লাগবে। “জীবিকা দিশারী’র” পাঠকদের জন্য তাই চালু করা হল নতুন বিভাগ ” প্রস্তুতির পরামর্শ” ! 

 

সাধারণত সরকারি চাকরি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পলিসির উপর নির্ভর করে। ভারতে শূন্যস্থান পূরণের জন্য বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো এজেন্ডা একসাথে কাজ করে।

যখন সরকার বিজ্ঞাপন দেন, তখন নির্বাচনের আগে একটি বাড়তি উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করি। আমরা জানি রাজ্য স্তরে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ প্রার্থী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে, তেমনি সারা দেশ থেকে কয়েক কোটি প্রার্থী স্নাতক হন। প্রতি বছর যদি কয়েক কোটি স্নাতক তৈরী হন, তাহলে তাদের সাথে তাদের পরিবার মিলিয়ে কয়েক কোটি মানুষের সাম্প্রতিক ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রশ্ন আসে।

সে জন্য ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের আমি বলবো, গ্র্যাজুয়েশনের সফলতার পর সরকারি চাকরি প্রস্তুতি আমরা নেবো কি নেবো না, এই দোদুল্যমানতায় না ভুগতে।  ভারতবর্ষে আগামী ২০ বছর সরকারি চাকরির বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তো নেই, বরঞ্চ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন ?

Advertisement

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ভীষণভাবে যে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পদ বা মুনাফা নিয়ে আসে, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তার পরিবর্তন ঘটলেও তার চাহিদা কিন্তু থাকবেই। এ ব্যাপারে কোন সংশয় নেই।

তাহলে দেখা গেল, দুটো কারণ রয়েছে – ১) কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের সব ক্ষেত্রেই কয়েক কোটি পরিবারের মধ্যে থেকে স্নাতক প্রার্থীদের  কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে এত সংখ্যক মানুষকে সরকার বা সরকারে অধিষ্ঠ দলের অনুরাগী করে তোলার একটা চাহিদা রয়েছে।

২) আজ এবং আগামীদিনেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য  মুনাফা আনতে সাহায্য করে বা করবে, তার কোন বিকল্প নেই।

গত প্রায় সত্তর বা আশির দশক পর্যন্ত ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে সরকারি চাকরির একটা চাহিদা ছিল। সামাজিক স্থিতি, নির্দিষ্ট বেতন, টানা চাকরি জীবন, বৈবাহিক জীবন সব দিক থেকেই সরকারি চাকরির একটা গ্রহণযোগ্যতা ছিল। এরপর থেকে কর্পোরেট চাকরির একটা রমরমা শুরু হয় সারা দেশ জুড়ে।  চাকচিক্য অফিস, বেসরকারি ক্ষেত্রে ভালো মানের বেতন অনেককেই আকৃষ্ট করলো। ২০১০ এর পর থেকে ভালো গুণমানের ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি চাকরিতে আনার জন্য সরকারি অফিস পরিকাঠামো, বেতন কাঠামো কর্পোরেট অফিসের সাথে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তিত হয়েছে। আগের থেকে অনেক বেশি পেশাদারিত্ব এসেছে। যদিও সরকারি চাকরির নিয়োগের পরিমাণ নির্ভর করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উপর। অনেক বছরই খুব কম নিয়োগ হয়েছে, আবার কিছু বছর বহুল পরিমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বেড়েছে।

আজকের দিনে আইআইটি থেকে উতীর্ণ হওয়ার পরেও ১০-১৫% ছাত্র-ছাত্রী আইএএস, আইপিএস হওয়ার জন্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসে। এমনকি ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনোলজির ছেলে-মেয়েদের একাংশকেও সরকারি চাকরির দিকে টেনে নিয়ে আসছে।  আমার মনে হয়, যারা সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারা নিজেদের কোন দ্বিধার মধ্যে না থেকে প্রস্তুতির ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন।

পরের পর্বে, সরকারি চাকরির জন্য কি ইকো-সিস্টেম দরকার সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আগামী সরকারি চাকরি বিষয়ক একাধিক বিষয় নিয়ে আমি নিজের ভাবনাচিন্তার কথা আপনাদের জানাবো, আশা করবো লক্ষ্ লক্ষ চাকরি প্রার্থীদের এই নানান বিষয়ে আলোচনা অনেকটা কাজে লাগবে।

– শ্রী সমিত রায়, চেয়ারম্যান, রাইস গ্রুপ

চ্যান্সেলার, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়

 

govt. job, govt. job after lockdown, samit ray

 

`রাইস ট্যালেন্ট স্কলারশিপ টেস্ট’ –এ রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করুন

Advertisement

Imprint
Responsible for the content:
jibikadishari.co.in
Privacy & Terms of Use:
jibikadishari.co.in
Mobile website via:
WordPress AMP Plugin
Last AMPHTML update:
08.04.2024 - 13:06:37
Privacy-Data & cookie usage: