হাতে গোনা আর কটা দিন তার পরেই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক। স্কুলের বাইরে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হওয়ায় স্বভাবতই দু্শ্চিন্তায় ভোগে কেউ-কেউ।
কেরিয়ার কোন দিনে এগোবে সেই চিন্তাভাবনা যেহেতু এই পরীক্ষা থেকেই শুরু করে দিতে হয় তাই ভালো ফল করার একটা চাপও থাকে। পরীক্ষা সামনে হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে বেশ তৈরি।
তাই সমস্ত রকম দুশ্চিন্তা কাটিয়ে পরীক্ষার দিনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কীভাবে? দেওয়া হল কিছু শেষ মুহূর্তের জরুরি পরামর্শ।
১) পরীক্ষার দিন সকালে অবশ্যই সময়মতো ঘুম থেকে উঠে পড়তে হবে যাতে খাওয়া-দাওয়া করে সবকিছু ঠিকমতো গুছিয়ে সময়মতো বাড়ি থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তে পারো।
যানজটের জন্য অনেকসময় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি হয়, তাই পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায় সেইমতো ব্যবস্থা করা উচিত।
অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ১৫ মিনিট আগে হলে ঢুকে নিজের জায়গায় বসে পড়া যাবে নিশ্চিন্তে।
২) অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, ঠিকানা ভালো করে দেখে রাখবে। জায়গাটি অপরিচিত হলে পরীক্ষার আগে একদিন গিয়ে রাস্তাটি চিনে আসতে পারলে আরো ভালো।
৩) বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ভালো করে দেখে নাও সব ঠিকমতো নেওয়া হয়েছে কিনা।
কালো ও নীল কালির ডট পেন, পেনসিল, ইরেজার সঙ্গে রাখবে। প্রয়োজন থাকলে জ্যামিতি বাক্স রাখতে একদম ভুললে চলবে না। লাল ও সবুজ কালি ব্যবহার করবে না।
৪) অনেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে চিন্তা ও ভয়াক্রান্ত হয়ে থাকে। এই ধরনের কারও থেকে দূরে থাকাই ভালো।
৫) ১৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া হবে এবং ৫ মিনিট আগে খাতা দিয়ে দেওয়া হবে। তাই প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রথম ৫-৭ মিনিট মন দিয়ে প্রশ্নগুলো দেখে নেবে।
প্রশ্নের মারপ্যাঁচ বোঝার ভুল যাতে না হয়। কোন-কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি ভালো করে দিতে পারবে সেগুলিকে আগে চিহ্নিত করে রাখবে। যদি সুবিধা মনে করো তাহলে বেশি জানা প্রশ্নগুলির উত্তর আগে লেখো। তারপর বাকিগুলো।
৬) প্রশ্নপত্র দেখে ঘাবড়ে গেলে হবে না। অনেকসময় বেশিরভাগ প্রশ্ন কমন না পেলেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীরা ঘাবড়ে যায়, সেটা করার কোনো কারণ নেই। ঠান্ডা মাথায় সমস্ত প্রশ্ন পড়তে হবে।
সিলেবাসের বাইরে কখনওই কোনো প্রশ্ন আসে না, তাই পাঠ্যবই ঠিকমতো পড়া থাকলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
৭) কোনো একটি উত্তর লেখার পিছনে অনেকটা সময় নষ্ট করলে হবে না। মাথায় রাখতে হবে যে, তিন ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর শেষ করতে হবে।
৮) চেষ্টা করো অন্তত ১৫ মিনিট আগে সমস্ত উত্তর লিখে শেষ করার যাতে শেষের ১৫ মিনিট পুনরায় উত্তরগুলো ঝালিয়ে নেওয়া যায়।
৯) মনে রাখবে, পাঠ্য বিষয় পড়ার পালা শেষ, এবার তার সুফল তোলার সুযোগ।
১০) সবশেষে আত্মবিশ্বাস ও পজিটিভিটি খুব জরুরি। প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করো বীরদর্পে, পাকা খেলোয়াড়ি মেজাজে।