মাধ্যমিকের প্রথম দশে ১১৪ জন

724
0
Current Affairs 2023
Courtesy: Hindustan Times

পরীক্ষার ৭৯ দিনের মাথায় ২০২২ সালের মাধ্যমিকরে ফল প্রকাশিত হল। এবারের ফলের গুরুত্বপূর্ণ যে দিকটি হল প্রথম দশ জনে রয়েছে ১১৪ জন। পরীক্ষার্থী।

প্রথম প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। প্রাপ্ত নম্বরের সূত্রে প্রথম হয়েছেন দুজন। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুলের অর্ণব ঘড়াই।

তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। একই সঙ্গে প্রথম হয়েছে একই নম্বর পেয়ে (৬৯৩) পূর্ব বর্ধমানের রৌনক মণ্ডল।

এতটা আশা না করলেও তাঁর বিশ্বাস ছিল প্রথম দশের মধ্যে থাকবে। রৌনকের পছন্দের বিষয় জীববিজ্ঞান এবং অঙ্ক।

সাত জন শিক্ষকের কাছে পড়া রৌনক ভবিষতে ডাক্তার হতে চায়।

মাধ্যমিকের ফলাফলের বিচারে এবার উত্তরবঙ্গর কোচবিহার থেকেই প্রথম দশ জনের মধ্যে চার জন রয়েছে।

ভালো ফল করেছে উত্তর দিনাজপুর, বর্ধমান পশ্চিম মেদিনীপুর। প্রথম থেকে দশম স্থানাধিকারীর সবাইই একের অধিক সংখ্যক।

নবম হয়েছে ১৫ জন এবং দশম হয়েছে ৪০ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কৌশিকী সরকার  ও অনন্যা দাশগুপ্তর মতো ছাত্রীও।

অতিমারির কারণে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হতে পারেনি। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৭ মার্চ। শেষ হয়েছিল ১৬ মার্চ।

মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩।  ছাত্রের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯ জন।  এবং ছাত্রী ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪।

সাফল্যের ক্ষেত্রে এ বছরও পাশের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ।

কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতায় পাশের হার ৯৪ শতাংশর বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় পাশের হার ৯১.৯৮ শতাংশ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশের হার ৮৯.০৮ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে পাশের হার ৯২.৫৯ শতাংশ ।

এবার মাধ্যমিকে কলকাতায় প্রথম ও রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে শ্রুতর্ষি ত্রিপাঠি। পাঠভবন স্কুলের ছাত্র সে।

৬৯০ পেয়ে চতুর্থ হয়েছে শ্রুতর্ষি। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার।

মেয়েদের মধ্যে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় কৌশিকী সরকার ও  তৃতীয় স্থানাধিকারী পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্ত ।

অনন্যার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। আসানসোল উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী।

উল্লেখ্য, এবারে একই নামের দুজন রয়েছেন অর্ণব মণ্ডল। একজন প্রথম হয়েছেন আরেকজন দ্বিতীয় হয়েছেন।

মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৮৬.৬ শতাংশ সফল হয়েছে। ছেলেদের পাশের শতাংশের পরিসংখ্যান ২০২২ সালে মেয়েদের চেয়ে একটু বেশি।

ছেলেদের পাশের হার ৮৮.৫৯ শতাংশ, মেয়েদের ৮৫ শতাংশ। এ বছর একটি ফলও অসম্পূর্ণ থাকেনি।