Site icon জীবিকা দিশারী

নিক অ্যাক্সটেন

nick axten

Courtesy: BBC


মানুষের বিচিত্র আচরণের গবেষক। জীবনের ৭৬ বছর বয়সে এসে পেলেন নতুন ডিগ্রি। ১৯৬৭ সালে স্নাতকের পড়া শেষ করে তিনি শুরু করেছিলেন এক অভিনব বিষয় নিয়ে গবেষণা। এক দিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ সে সময় দ্রুত পালটাচ্ছে বিশ্ব।

সেই অস্থির সময়েই তিনি মানুষের আচার আচরণ ও মন বুঝতে চেয়েছিলেন। আর সেই চাওয়াই তাঁকে শেষ বয়সে আবার গবেষণার পথে নিয়ে এল। এবং সেই অসমাপ্ত পড়াই শেষ করে সম্প্রতি প্রবীণ বয়সে পেলেন ডিগ্রি। তাঁর বয়সের তুলনায় সহপাঠীরা সবাইই খুবই কম বয়সি।

ডক্টর অ্যাক্সটেন উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯ বছর বয়সে দর্শনশাস্ত্রে এমএ করতে এসেছিলেন। তার পর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি করার জন্য অধ্যয়ন করেন, ২০২২ সালে ৭৫ বছর বয়সে শেষ করেন তাঁর গবেষণা।

গবেষণার বিষয় একটু বিচিত্রই। মানুষের মনোবিজ্ঞান। আচার আচরণ। যিনি নিজে বলেছেন, আমি মানুষকে বুঝতে চেয়েছিলাম বলে মনোবিজ্ঞান পড়তে গিয়েছিলাম।’ তাঁর গবেষণার বিষয় মানুষের ‘বিহ্যাভেরিয়াল সাইকলোজি’। মানুষের নানা পরিবর্তনের কথা।

তাঁর গবেষণায় তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন মানুষর আচরণ বোঝার নতুন তত্ত্ব। ড. নিক অ্যাক্সটেন ২০১৬ সালে তাঁর পড়াশোনা আবার শুরু করেন। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে এমএ শেষ করে সেখানেই পিএইচডি শুরু করেন। ৭৬ বছর বয়সে তিনি তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করলেন।

কর্মজীবনে তিনি ছিলেন ‘অক্সফোর্ড প্রাইমারি সায়েন্সের’ স্কুল শিক্ষণ প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান লেখক। জীবনে দেখেছেন অনেক। ভিয়েতনাম যুদ্ধ, প্যারিসে ছাত্র আন্দোলন।

সে সবই তিনি স্মরণ করলেন তাঁর ডিগ্রি লাভের মঞ্চে। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন ‘অক্সফোর্ড প্রাইমারি সায়েন্সের’ স্কুল শিক্ষণ প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান লেখক।

ড. নিক অ্যাক্সটেন ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ম্যাথমেটিক্যাল সোসিওলজি’ নিয়ে পিএইচডির থিসিস শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ না করেই ফিরে যান জন্মভূমি যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে।

এর পর কেটে যায় কয়েক দশক। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্সটেনকে মানুষের ‘বিহ্যাভেরিয়াল সাইকলোজি বিষয়ে কাজের জন্য ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে।

Exit mobile version