আধুনিক সৌদি আরবের ইতিহাসে নতুন করে অনন্য নজির গড়তে চলেছেন সে দেশের এক নারী। ইতিমধ্যেই সেখানকার সংস্কারের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে দেশের নানা কাজে যুক্ত হয়েছেন সে দেশের নারীরা (Rayana Barnawi)।
অফিস আদালত আইনের দরবার থেকে পুরুষ সঙ্গীহীন হয়ে গাড়ি চালানোর মতো স্বাধীন এক কর্মজগতে প্রবেশ করেছেন আরবের নারীরা। সেই সারণিতে এ বার এক নারীর আকাশপথে ভ্রমণ বা নভোচরী হওয়া। এ কে ইতিহাস।
সব কিছু ঠিক থাকলে সৌদি আরবের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নভোচরী মহিলা। যার নাম রায়ানা বারনাউই।
৩৩ বছর বয়সি মহিলা মহাকাশচারী রায়ানা বারনাউই এই বছর ১০ দিনের মিশন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) সহকর্মী সৌদি আলি আল-কারনির সাথে এএক্স-২ মহাকাশ মিশনে অবস্থানরত নভোচরীদের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
ইতিমধ্যেই তাঁদের বহনকারী রকেট যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা দিয়েছে। মহাকাশে অবস্থান করবেন সৌদি আরবের এই সাহসী নারী। আর এই ইতিহাসের পেছনে যিনি প্রধান উদ্যোগী এবং যাঁর নাম করতে হয়, তিনি যুবরাজ মোহম্মদ বিন সলমন।
যিনি সামাজিক রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন নারীদের। ২০১৭ সাল থেকে তার শাসনামলে, সৌদি নারীদের গাড়ি চালানো এবং একজন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, উপরন্তু, ২০১৬ সাল থেকে শ্রমশক্তিতে মহিলাদের অনুপাত দ্বিগুণেরও বেশি, ১৭ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশ হয়েছে।
এই অগ্রগতিতে এ বার রায়ানা বারনাউই। রায়ানা বারনাউই বায়োমেডিকেল সায়েন্সে মাস্টার। তিনি ক্যান্সার এবং স্টেম সেল গবেষণায় বিশেষজ্ঞ।
এ প্রসঙ্গেই আসে সৌদির মহাকাশ অভিযানের কথা। প্রথম মহাকাশ অভিযান শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। সুলতান বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রথম আরব মুসলিম হিসেবে নভোচরে ভ্রমণ করেছিলেন।
সেই পথ পেরিয়েই ২০১৯ সাল থেকে নতুন করে মহাকাশে অভিযন শুরু করে এই দেশটি। দেশটির নভোচরী আল-মান্সুরী আট দিন আইএসএসে অবস্থান করেন। সেই তালিকায় এ বার এক নারী। সৌদির প্রথম মহিলা নভোচরী (Rayana Barnawi)।