স্থগিতাদেশ ছিলই, পুনরায় সেই স্থগিতাদেশের দিন বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চপ্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে জট খুলল না এখনও। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, দু সপ্তাহের মধ্যে উক্ত পরীক্ষার ‘ইন্টারভিউ লিস্ট’ প্রকাশ করতে হবে, যে তালিকায় লিখিত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে প্রাপ্ত নম্বরও থাকতে হবে, এবং তা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র নিজস্ব ওয়েবসাইটে। উল্লেখ্য, উচ্চপ্রাথমিকে কর্মশিক্ষক ও শারীর শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নেই এই অভিযোগ তুলে ১৪২ জন পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। তাঁদের দাবি, নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতিতে স্বচ্ছতা নেই। ফলে তপসিলি জাতি ও জনজাতি প্রার্থীরা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও ঝুমা চক্রবর্তী আবেদনে জানান, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রশিক্ষিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, অথচ প্রশিক্ষণহীনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র আদালতকে জানান, শিক্ষক নিয়োগে কোনো অস্বচ্ছতা নেই, নিয়োগ হচ্ছে নিয়ম মেনেই। যেসব প্রার্থীকে নিয়োগ করতে এসএসসি সুপারিশ করেছে, তাঁরা স্থগিতাদেশ তুলতে কোর্টের দ্বারস্থ হন, কিন্তু কোর্ট সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। সব পক্ষের কথা শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি উক্ত মামলাটির উপর আরও ছসপ্তাহ স্থগিতাদেশ জারি করলেন।