Site icon জীবিকা দিশারী

মৃত্যুঞ্জয়ী সুভাষ: নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের চিরস্মরণীয় কিংবদন্তী নাম হল সুভাষচন্দ্র বসু।স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে দেশের সেবায় যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আর এই মহান কর্মযজ্ঞে তাঁর অসামান্য নেতৃত্বদানের জন্যই তিনি আপামর ভারতবাসীর কাছে ‘নেতাজি’।
আজ ২৩ জানুয়ারি সেই মহামান্য নেতার ১২৫ তম জন্মদিন। তাঁর বীরত্বকে কুর্নিশ জানিয়ে এই দিনটিকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে গত ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজির অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁর জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দু’টি গ্যালারির উদ্বোধন করেন তিনি। অন্যদিকে, এদিনই নেতাজির সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করা আবিদ হাসানকে মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করে নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে ‘নির্ভীক সুভাষ’ নামে গ্যালারির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য বিপ্লবীদের নিয়ে অপর একটি গ্যালারির নাম রাখা হয়েছে ‘বিপ্লবী ভারত’। দুটি গ্যালারির উদ্বোধনের পর রবিবার থেকেই গ্যালারি দুটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী হাওড়া-কালকা মেলের নাম পরিবর্তন করে ‘নেতাজি এক্সপ্রেস’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। ২০ জানুয়ারি কালকা মেলের এই নামকরণের কথা টুইট করে জানান রেলমন্ত্রী পীযূশ গয়াল। সেখানে বলা হয়েছে, ১২৩১১/১২৩১২ হাওড়া-কালকা এক্সপ্রেসের নাম নেতাজি এক্সপ্রেস করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পূর্বে বাণিজ্যিকভাবে চালানো ট্রেনগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল কালকা মেল। কলকাতার সঙ্গে কালকার যোগসূত্র ছিল এই ট্রেন। ১৯৪১ সালে কলকাতার বাড়ি থেকে ব্রিটিশের নজরবন্দি এড়িয়ে পালানোর সময় বিহারের গোমো থেকে কালকা মেলে চেপেছিলেন নেতাজি। সেই সময়ে গোমো স্টেশনটি বিহারের অধীনে ছিন, যা বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে রয়েছে।
একইসঙ্গে দেশের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে অনলাইন বক্তৃতা, ওয়েবিনার, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ভার্চুয়াল পোস্টার তৈরি, সাইক্যাথন, যোগাথন এইসব ক্রীড়া কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(UGC)। অধ্যক্ষ ও উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে UGC জানিয়েছে, নেতাজির কাজ, আত্মত্যাগ ইত্যাদি স্মরণ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেন এক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে। কোভিড বিধি মেনেই তা যেন করা হয়। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা মন্ত্রকের টুইটার ও ফেসবুক পেজে নেতাজিকে নিয়ে তৈরি ভিডিয়ো শেয়ার করতে পারবে।
নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনটিকে রাজ্যের পক্ষ থেকে দেশনায়ক দিবস হিসাবে পালন করে বছরভর উৎসব উদযাপনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে রাজারহাটে আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে। নেতাজির নামে তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, যার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার রাজ্য সরকার বহন করবে।বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে দ্রুত গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে রাজ্য সরকার।

এক নজরে নেতাজি:

 

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল  ক্লিক করুন

 

Exit mobile version