কিছুদিনের মধ্যে শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ১৭তম বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election)। একজন নাগরিক হিসাবে ভোটাধিকার প্রদান করার গুরুত্বই আলাদা, গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্যে মুখিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। ভোটাধিকার প্রয়োগের পূর্বে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত নিজের কেন্দ্র, নিজের জেলা সম্পর্কে সাধারণ কিছু তথ্য।
আজকের জেলা: পশ্চিম মেদিনীপুর
১) ১ জানুয়ারি, ২০০২ সালে বৃহত্তর মেদিনীপুর জেলা বিভক্ত হয়ে তৈরি হয় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলা। ৪ এপ্রিল, ২০১৭ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে আলাদা করে ঝাড়গ্রাম জেলা তৈরি হয়।
২) এনএইচ ১৪ ও এনএইচ ১৬ বিস্তির্ণ জেলাটিকে (৯,৭৮৬ বর্গ কিমি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরেই) দুই ভাগে ভাগ করেছে। জেলার একদিক যেমন ঘন জনবসতিপূর্ণ, উর্বর জমির জায়গা, তেমনই পশ্চিমাংশে ছোটনাগপুর মালভূমির ছাঁট অংশ পাথুরে মাটির জঙ্গল পরিপূর্ণ এলাকা গড়ে তুলেছে।
৩) পশ্চিম মেদিনীপুরের জনসংখ্যা ৫৯ লক্ষ ১৩ হাজার (২০১১ জনগণনা অনুসারে), জনঘনত্ব ৬৩১ প্রতি বর্গকিমিতে। এই জেলায় ৮৫.৫২% হিন্দু ধর্মাবলম্বী, ১০.৪৯% ইসলাম ধর্মাবলম্বী, ৪.৮০% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন।
৪) এই জেলায় মেদিনীপুর সদর, খড়গপুর, ঘাটাল মহকুমা রয়েছে, লোকসভা কেন্দ্র ২টি (মেদিনীপুর, ঘাটাল); বিধানসভা কেন্দ্র হল ১৫টি।
৫) পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮টি মিউনিসিপ্যালিটি, ৩৯টি থানা, ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।
৬) এই জেলায় বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি, আইআইটি খড়গপুর সহ ৩৮টি কলেজ, ইনস্টিটিউশন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। জেলার সাক্ষরতার হার ৭৯.০৪% ।
৭) এই জেলার বর্তমান জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কামাল, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার।
৮) এই জেলায় ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান, গনগনি, কুরুম্বারা ফোর্ট সহ একাধিক ভ্রমণস্থান রয়েছে।
West Medinipur, West Bengal Assembly Election