ওয়ার্ল্ড টেলি কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি দিবস 

917
0
telecommunication
Courtesy: Hranker.com

এটা সংযোগময়তা বা কমিউনিকেশনের বিশ্ব। ইন্টারনেটের যুগ। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে মুহূর্তে যোগাযোগের যুগ।
তা সে ব্যসায়িক হোক অথবা শিক্ষা বা চিকিৎসায়। ঘরে বসে বিদেশের ডিগ্রি অর্জন, উচ্চ শিক্ষা যেমন গ্রহণ করা যায়, তেমনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ‘উটেলি মেডিশিন’ আজ সর্বজন বিদিত।
সমসাময়িক বিশ্ব কোভিড অতিমারীর কবলে। বিজ্ঞানীরা নতুন-নতুন বিষয় আবিষ্কার করছেন আর গবেষণার সেই আবিষ্কারই তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নতুন-নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে।
শিক্ষা, বিজ্ঞান কর্মক্ষেত্র  সবেতেই এক নতুন যুগ। এই যোগাযোগ একদিনে আসেনি।
টেলিযোগাযোগ কী?
টেলিযোগাযোগ হল তার, রেডিও ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন চৌম্বক পদ্ধতির সাহায্যে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের যোগাযোগ।
দিনে-দিনে যুক্ত হয়েছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ধারা। এই দুই-দুই  মিলেই টেলিকমিউনিকেন অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বা তথ্যপ্রযুক্তি।
এই বিশ্বকেই বলা হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন।
প্রথম টেলিযোগাযোগের সূচনা হয়েছিল ১৮৬৯ সালে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আইটিইউ।
১৮৬৫ সালে প্যারিসে প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন হয়েছিল। তার অনেক বছর পরে রোগ দেয় ইনফরমেশন সোসাইটি।
এই দুই বিষয় মিলিত হয়েই গঠিত হয়েছিল তথ্য সোসাইটি। তার মূল কাজ হল ইন্টারনেট এবং অন্যান্য  তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে জনজীবনের বিভিন্ন দিকে উন্নতির দিশা দেখানো। বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্যে।
২০১৫ সালের আগে এটি শুধুমাত্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস হিসেবে বিবেচিত হত। পরে জাতি সংঘের সম্মতিতে  ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকশন সোসাইটি অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি যুক্ত হয়ে প্রতি বছর ১৭ মে দিনটি  উপরোক্ত দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে প্রতি বছর।
নিত্য নতুন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবহার, আগামী বিশ্বকে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে উপযুক্ত উন্নয়নের বিকাশেই এই দিনটি পালিত হয়ে চলেছে। এক কথায় চ্যালেঞ্জিং সময়ে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনকে ত্ত্বরান্বিত করতে ও সচেতনতা বাড়াতেই এই দিবসটির তাৎপর্য।
প্রতি বছর এই দিনটিকে বিশেষ থিম বা লক্ষ্যে নামাঙ্কিত করা হয়। ২০১৯ সালে শিরোনাম ছিল “স্ট্যান্ডার্ডাইজশন গ্যাপ ব্রিজিং”। অর্থাৎ পুরনো পদ্ধতির সঙ্গে নতুন বিশ্বের পরিচয় ঘটানো।
২০২০ সালে ‘ “কানেক্ট ২০৩০: সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস” এবং এ বছর ২০২১- এর বিশ্ব যখন ভয়ানক ভাইরাসে টালমাটাল, এই বছরের থিম ”ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইম”।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু সংবাদই নয়, এক প্রান্তের মানুষ আরেক প্রান্তে চিকিৎসার সুযোগ থেকে ঘরে বসে অফিসও চলছে।
আজ ১৭ মে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই ওয়েবিনারের সাহায্যে নানা ভাবে আলাপ আলোচনায় দিনটি পালিত হবে। মূল আলোচ্য সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপযুক্ত বিকাশের লক্ষ্যেই দৃষ্টিপাত ও সচেতনতা গড়ে তোলা।
আগামী বিশ্ব এই প্রযুক্তি ছাড়া চলতেই পারবে না। তাই শৈশব থেকেই সকল ছাত্রছাত্রীকেই এই শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠতেই হবে।
অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়নে, শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠছে। এক কথায় টেলিযোগ, ওয়্যারলেস, রেডিও, উপগ্রহের মানচিত্রের অন্যতম প্রয়োজনীয় দাবিদার হয়ে উঠেছে টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি।
১৭ মে বিশ্বজুড়েই পালিত হচ্ছে আধুনিক বিশ্বের এই তাৎপর্যময় দিনটি। নিও নরমাল বিশ্বের অপরিহার্যতা ও গুরুত্বের কথা আলোচিত হবে নানাভাবে। স্মরণ করা হয় আবিষ্কারকদের কথাও।