সেন্ট্রাল টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট-জুলাই ২০২০-র জন্য দরখাস্ত নেওয়া শুরু হয়েছে। অনলাইন আবেদন করা যাবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষা হবে আগামী ৫ জুলাই, রবিবার। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্কুল যেমন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয়, সৈনিক স্কুল, সেন্ট্রাল টিবেটান স্কুল, দিল্লি সাবর্ডিনেট সার্ভিসের বিভিন্ন স্কুল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্কুল ইত্যাদিতে প্রতি বছর বেশ কয়েক হাজার শূন্যপদে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিটেট পরীক্ষায় সফল হওয়া আবশ্যিক। সিবিএসই অ্যাফিলিয়েটেড সমস্ত স্কুল, কিছু বেসরকারি স্কুল ও অন্য কোনো-কোনো রাজ্য সরকারের স্কুলেও এই পরীক্ষার সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হয়। সিটেটের আয়োজক সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন। পরীক্ষায় মোট ৬০ শতাংশ নম্বর তুললে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তা বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ ডাকে। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে ওপরে বলা স্কুলগুলির কোনো নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি বেরোলে আবেদন করতে পারবেন (সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের নিয়ম অনুযায়ী নম্বরে ছাড় পেতে পারেন)।
সার্টিফিকেট ব্যবহার করা যাবে ফল বেরনোর পর সাত বছর পর্যন্ত। একজন যতবার খুশি এই পরীক্ষায় বসতে পারেন, আরও ভালো স্কোর করার চেষ্টায়। শিক্ষকতার চাকরিতে আবেদন করার সময় সেরা স্কোরটি ব্যবহার করতে পারবেন। বছরে ২ বার এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, জুলাই ও ডিসেম্বর মাসে। s
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষকতার জন্য: ১) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল, সঙ্গে এলিমেন্টারি এডুকেশনে দু বছরের ডিপ্লোমা পাশ বা অবতীর্ণ, অথবা ২) ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে (এনসিটিই রেকগনিশন নর্মস অ্যান্ড প্রসিডিওর) রেগুলেশন্স, ২০০২ অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল সঙ্গে দু বছরের এলিমেন্টারি এডুকেশন পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ৩) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল সঙ্গে চার বছরের ব্যাচেলর অব এলিমেন্টারি এডুকেশন (বিএলএড) পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ৪) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল সঙ্গে এডুকেশনে (স্পেশ্যাল এডুকেশন) দু বছরের ডিপ্লোমা পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ৫) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি সঙ্গে বিএড পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী।
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকতার জন্য: ১) গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি সঙ্গে এলিমেন্টারি এডুকেশনে দু বছরের ডিপ্লোমা বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ২) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন সঙ্গে এক বছরের ব্যাচেলর অব এডুকেশন পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ৩) ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে (এনসিটিইর সময়ে-সময়ে প্রযোজ্য রেগুলেশন (রেকগনিশন নর্মস অ্যান্ড প্রসিডিওরস) অনুযায়ী) গ্র্যাজুয়েশন সঙ্গে এক বছরের ব্যাচেলর অব এডুকেশন পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ৪) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক/ সমতুল সঙ্গে চার বছরের এলিমেন্টারি এডুকেশন পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ৫) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল সঙ্গে চার বছরের বিএ/ বিএসসিএড অথবা বিএএড/ বিএসসিএড পাশ বা তার অন্তিম বছরের পরীক্ষার্থী, অথবা ৬) ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন সঙ্গে ১ বছরের বিএড (স্পেশ্যাল এডুকেশন)।
ওপরের সবক্ষেত্রেই ডিএড (স্পেশ্যাল এডুকেশন) যোগ্যতার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে, চাকরিতে নিযুক্ত হলে ৬ মাসের বিশেষ একটি ট্রেনিং নিতে হবে এলিমেন্টারি এডুকেশন বিষয়ে। তপশিলি, ওবিসি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য নম্বরে ৫ শতাংশ ছাড় আছে।
ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল এডুকেশন সংক্রান্ত এনসিটিইর নিয়মানুযায়ী যোগ্যতা এবং আর্ট এডুকেশন, ক্র্যাফ্ট এডুকেশন, হোম সায়েন্স, ওয়ার্ক এডুকেশন ইত্যাদির শিক্ষকতার ক্ষেত্রে রাজ্য ও নিয়োগকারী বিদ্যালয়গুলির ম্যানেজমেন্টের নির্ধারিত যোগ্যতামান গ্রাহ্য হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি: প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষায় থাকবে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), ল্যাঙ্গুয়েজ ওয়ান (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), ল্যাঙ্গুয়েজ টু (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), ম্যাথমেটিক্স (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর)। মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা, সময় আড়াই ঘণ্টা।
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্ষেত্রে থাকবে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), ল্যাঙ্গুয়েজ ওয়ান (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), ল্যাঙ্গুয়েজ টু (৩০টি প্রশ্ন, ৩০ নম্বর), ম্যাথমেটিক্স অ্যান্ড সায়েন্স— ম্যাথমেটিক্স এবং সায়ন্সে টিচারের জন্য (৬০টি প্রশ্ন, ৬০ নম্বর), সোশ্যাল স্টাডিজ/ সোশ্যাল সায়েন্স— সোশ্যাল স্টাডিজ ও সোশ্যাল সায়েন্স টিচারদের জন্য (৬০টি প্রশ্ন, ৬০ নম্বর)। মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা, সময় আড়াই ঘণ্টা।
পরীক্ষার ফি: পেপার-ওয়ান বা পেপার টু-র জন্য পরীক্ষার ফি প্রতি পেপারের জন্য ১০০০ টাকা। কোনো প্রার্থী পেপার ওয়ান ও পেপার টু দুটি পরীক্ষাই দিতে চাইলে ফি বাবদ ১২০০ টাকা দিতে হবে। তপশিলি জাতি/ উপজাতি প্রার্থীদের পেপার ওয়ান বা পেপার টু-র জন্য ফি বাবদ ৫০০ টাকা এবং পেপার ওয়ান ও টু দুটির জন্যই আবেদন করতে চাইলে ৬০০ টাকা দিতে হবে। ব্যাঙ্কের সার্ভিস চার্জ ও সার্ভিস ট্যাক্স আলাদা। ডেবিট কার্ড/ ক্রেডিট কার্ড/ ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং বা সিন্ডিকেট এবং কানাড়া ব্যাঙ্কে ই-চালানের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে।
আবেদনের পদ্ধতি: www.ctet.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে হবে। দরখাস্তে নিজের বৈধ ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। অনলাইন আবেদন করার আগে সম্প্রতি তোলা ছবি (৩.৫ x ৪.৫ সেমি মাপের) ও স্বাভাবিক স্বাক্ষর (৩-৩০ কেবি, ৩.৫ x ১.৫ সেমি মাপের কাগজে) স্ক্যান করে রাখতে হবে। অনলাইন আবেদন করার সময় নির্দিষ্ট স্থানে তা আপলোড করতে হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা যাবে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে।