কোস্টগার্ডে পুরুষ, মহিলা অফিসার

807
0
Indian Coust Guard

ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীতে স্পেশ্যাল রিক্রুটমেন্ট ড্রাইভে ০১/২০১৯ ব্যাচে ট্রেনিং দিয়ে বেশ কিছু তরুণ-তরুণী নিয়োগ করা হবে। গ্রুপ-এ গেজেটেড অফিসার র‍্যাঙ্কের পদ। নিয়োগ হবে অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট পদে পার্মানেন্ট কমিশনে জেনারেল ডিউটি (পুরুষ), জেনারেল ডিউটি (পাইলট)(পুরুষ) ও শর্ট সার্ভিস কমিশনে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এসএসএ) (পুরুষ ও মহিলা) ব্রাঞ্চে। আবেদন করতে হবে শুধুমাত্র অনলাইনে।

যোগ্যতা: পার্মানেন্ট কমিশনে জেনারেল ডিউটি এবং জেনারেল ডিউটি (পাইলট) পদের জন্য ৬০ শতাংশ (তপশিলি, এনসিসি ‘সি’ (এ গ্রেড) সার্টিফিকেটধারী, জাতীয় স্তরের কৃতী ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ) নম্বর সহ স্নাতক হতে হবে (বিই/বিটেকের ক্ষেত্রে ১ম সেমেস্টার থেকে ৮ম সেমেস্টার বা অন্যান্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রথম বছর থেকে শেষ বছর, সব পর্বের পরীক্ষা মিলিয়ে)। উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ম্যাথমেটিক্স ও ফিজিক্স বিষয় থাকতে হবে এবং ওই দুই বিষয় মিলিয়ে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকা দরকার। শর্ট সার্ভিস কমিশনে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স শাখার জন্য ম্যাথমেটিক্স ও ফিজিক্স বিষয় নিয়ে পড়ে ও মোট অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর সহ উচ্চমাধ্যমিক পাশ, সঙ্গে ডিজিসিএ অনুমোদিত কমার্শিয়াল লাইসেন্স। সবক্ষেত্রেই, যোগ্যতা সম্পূর্ণ হয়ে থাকলে তবেই আবেদন করা যাবে।

বয়স: জেনারেল ডিউটির পদের ক্ষেত্রে জন্মতারিখ ১ জুলাই ১৯৯৪ থেকে ৩০ জুন ১৯৯৮- মধ্যে হতে হবে। জেনারেল ডিউটি (পাইলট) এবং কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে জন্মতারিখ ১ জুলাই ১৯৯৪ থেকে ৩০ জুন ২০০০-এর মধ্যে হতে হবে।

তপশিলি ও ওবিসি প্রার্থীরা নিয়মানুযায়ী বয়সের ছাড় পাবেন।

বেতনক্রম: র‌্যাঙ্ক অনুযায়ী বেতন। শুরুতে অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট র‌্যাঙ্কে মোট প্রায় ৫৬,১০০ টাকা, সঙ্গে আরও নানা ভাতা। র‌্যাঙ্কে উন্নতির সঙ্গে-সঙ্গে বেতনক্রম বাড়বে।

শারীরিক মাপজোক: উচ্চতা: অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট (জিডি) পদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে কমপক্ষে ১৫৭ সেন্টিমিটার। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী পাহাড়ের অধিবাসী ও যে-কোনো আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রার্থীরা উচ্চতায় নির্দিষ্ট ছাড় পাবেন। পাইলট ও সিপিএল পদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে কমপক্ষে ১৬২.৫ সেন্টিমিটার, পায়ের মাপ অন্তত ৯৯ সেমি।

বুকের ছাতি সুগঠিত ও অন্তত ৫ সেমি ফোলাতে সক্ষম হতে হবে।

অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট জেনারেল ডিউটি পদের ক্ষেত্রে চশমা ছাড়া ৬/৬ ৬/৯ এবং চশমা থাকলে ৬/৬ ৬/৬ দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট (পাইলট) ও কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সধারী পদের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে চশমা ছাড়া এক চোখে ৬/৬ অন্যচোখে ৬/৯ সংশোধন হলে ৬/৬। ওজন: উচ্চতা ও বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। ১০ শতাংশ কমবেশি হলে তা গ্রাহ্য হবে।

শরীরে স্থায়ী ট্যাটু থাকলে সে বিষয়েও কিছু কড়াকড়ি আছে, ওয়েবসাইটে জানা যাবে।

প্রার্থিবাছাই: প্রার্থী নির্বাচন করা হবে প্রিলিমিনারি সিলেকশন (সম্ভবত আগামী ১৮ জুন), ফাইনাল সিলেকশন ও মেডিক্যাল সিলেকশনের মাধ্যমে। নম্বরের ভিত্তিতে বাছাই করা প্রার্থীদের প্রিলির জন্য ডাকা হবে। নির্বাচিত আবেদনকারীদের যথাসময়ে পরীক্ষার দিন, সময় ও স্থান ইমেল মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে। এরাজ্যের প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র হবে সম্ভবত এই ঠিকানায়: Coast Guard Regional Headquarters (North East), Synthesis Business Park, 6th floor, Shrachi Building, New Town, Rajarhat, Kolkata –700 161. পরীক্ষার দিন দুকপি কম্পিউটার জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন (৩ মাসের মধ্যে তোলা পাসপোর্ট মাপের রঙিন ফটো সেঁটে) সমস্ত মূল নথিপত্র (মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, গ্র‌্যাজুয়েশন পরীক্ষার সব বছর/ সেমেস্টারের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, ক্যারেকটার সার্টিফিকেট ইত্যাদি) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পাইলট লাইসেন্স, দুকপি ডাউনলোড করা অ্যাডমিট কার্ড (একই ছবি সেঁটে) কোনো একটি ফটো আইডেন্টিটি কার্ড এসব নিয়ে যেতে হবে। অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করা যাবে ৮-২৪ জুন (এই লিঙ্কে: www.joinindiancoastguard.gov.in/reprint.aspx)। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় সফল হলে ফাইনাল সিলেকশনের জন্য ডাকা হবে। ফাইনাল সিলেকশন হবে সাইকোলজিক্যাল টেস্ট, গ্রুপ টাস্কিং এবং ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। এসবেও সফল হলে মেডিক্যাল টেস্ট। চূড়ান্ত মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে সম্ভবত আগামী ডিসেম্বরে।

আবেদনের পদ্ধতি: ১৯ মে থেকে ১ জুন ২০১৮ বিকেল ৫টা পর্যন্ত, শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে। কেবলমাত্র একটি পদ ও পরীক্ষাকেন্দ্রের জন্য আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য www.joinindiancoastguard.gov.in গিয়ে ‘অপর্চুনিটিজ’-এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে জেনারেল ডিউটি/ জেনারেল ডিউটি (পাইলট)/সিপিএল পদের মধ্যে যে-কোনো একটি সিলেক্ট করে আবেদন করতে হবে। I Agree বোতামে ক্লিক করলে Online Application লেখা দেখাবে। এবার সেখানে গিয়ে অনলাইন আবেদনপত্রটি পূরণ করতে হবে। সেখানে স্টার (*) চিহ্ন দেওয়া প্রতিটি খোপ পূরণ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনপত্র পূরণ করা হয়ে গেলে  করার আগে পুনরায় তা চেক করে নিন। অনলাইন আবেদন সফলভাবে পূরণ হয়ে গেলে একটি ইউনিক অ্যাপ্লিকেশন/রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ না করতে পারলে  লেখা একটি রিজেকশন স্লিপ অনলাইনেই দেখতে পাবেন। দরখাস্তে মাধ্যমিক সার্টিফিকেটে আবেদনকারীর নাম, পিতা/মাতার নামের যা বানান থাকবে সেটাই লিখতে হবে। জন্মতারিখও মাধ্যমিক সার্টিফিকেটে অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। আবেদনের সময় উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক স্তরে প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের হিসাব উল্লেখ করতে হবে। ভগ্নাংশকে ভগ্নাংশ আকারেই লিখতে হবে, পরবর্তী পুরো নম্বর হিসাবে ধরা যাবে না (যেমন ৫৯.৯৯ শতাংশ নম্বর থাকলেও আবেদন করতে পারবেন না ৫৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকতে হবে) উল্লেখিত পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির মধ্যে যে-কোনো একটি বাছতে হবে। যে পরীক্ষাকেন্দ্র বাছবেন পরে সেটির কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। আবেদনের সময় আবেদনকারীর নিজস্ব ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। বাকি সমস্ত ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন উপরের ওয়েবসাইটে।

সফলভাবে ফর্ম সাবমিট করার পর www.joinindiancoastguard.gov.in/reprint.aspx এই URL গিয়ে দিন ও তারিখ সহ নিজের পূরণ করা আবেদনপত্রের প্রিন্ট-আউট নিতে হবে। যথাসময়ে অ্যাডমিট কার্ডের প্রিন্ট-আউট পাবেন নির্বাচিত প্রার্থীরা।

আবেদনপত্রের ২ কপি প্রিন্ট-আউট নিতে হবে এবং দুটিতেই আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষর সহ রিক্রুটমেন্ট সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে একটি প্রিন্ট-আউট সঙ্গে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ডিগ্রি সার্টিফিকেট, জাতি শংসাপত্র (কাস্ট সার্টিফিকেট) এবং এনসিসি  সার্টিফিকেট অথবা গেমস সার্টিফিকেট (যাঁর ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য) গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে অ্যাটেস্টেড করিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। কোনও আবেদনকারী এগুলি পরীক্ষা কেন্দ্রে না নিয়ে গেলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। দ্বিতীয় প্রিন্ট-আউট কপিটি প্রমাণ হিসেবে নিজের কাছে রাখতে হবে। একাধিক বিভাগে বা একাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রের জন্য আবেদন করলে আবেদনপত্র বাতিল হবে।

এই পরীক্ষায় একটি প্রাথমিক বাছাই পর্ব থাকবে এবং সেখানে উত্তীর্ণ হলে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই পর্ব চলবে। প্রাথমিক পর্বে সমস্ত সার্টিফিকেটের সঙ্গে পরিচয় পত্র হিসেবে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার পরিচিতি পত্র, কলেজের আই-ডি বা অন্য কোনও পরিচয় পত্রের একটি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। এই খবরের আপডেটের জন্য ওপরের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত অনুসরণ করতে হবে।