শিক্ষক: জয়ন্ত কুমার অধিকারী
বিদ্যালয়: কেন্দা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বর্ধমান
প্রশ্নঃ ‘সত্যের দারুণ মূল্য করিবারে’— সত্যের দারুণ মূল্য কী?
উঃ আত্মস্বরূপ আবিষ্কার করা।
প্রশ্নঃ ‘ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল’— সবাই দিগন্তে কেন চোখ রাখল?
উঃ কখন ঝাঁক ঝাঁক শকুন নামবে এবং বুড়ির মৃতদেহ ভক্ষণ করবে তা দেখা জন্য।
প্রশ্নঃ ‘হিম নিস্পন্দ নিরপরাদ ঘুম’— কথাটিক অর্থ কী?
উঃ হরিণটির মৃত্যু চিরকালীন নিদ্রাকে ফুটিয়ে তুলেছে।
প্রশ্নঃ ‘এবার নিশ্চয় লোকের হাসি পাবে’— কী দেখে বক্তা এই মন্তব্য করেছেন?
উঃ পুলিশের গুলিতে শোভাযাত্রীদের মধে’ একটি ছেলে ও মেয়ের চিৎকারে শম্ভু মিত্র এরূপ মন্তব্য করেছেন।
প্রশ্নঃ ‘কত সব প্রাণ’— প্রশ্নগুলো কার?
উঃ কবির মধ্য দিয়ে প্রশ্ন করেছে পড়তে জানা এক মজুর।
প্রশ্নঃ ‘চোখ খুলে দেখলেন’— কে কী দেখলেন?
উঃ গুরু নানক চোখ খুলে দেখেন মর্দানা তেষ্টার চোটে জল ছাড়া মাছের মতো ছটফট করছে।
প্রশ্নঃ ‘মরা হাতি সোয়া লাখ’— এ কথা কার কেন মনে হয়েছে?
উঃ দিলদারের চরিত্রে অভিনয় দেখে মুগ্ধ এক দর্শক রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে একথা বলেছেন।
প্রশ্নঃ থিসরাস কাকে বলে?
উঃ শব্দার্থের বিশাল জগতকে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস করার একটি নিদর্শন হল থিসরাস।
প্রশ্নঃ ‘রাজা রথারোহনম্ নাটয়তি’— কথাটির অর্থ কী?
উঃ যার প্রতিভা আছে তার বয়সে কী এসে যায়!
প্রশ্নঃ ‘স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব’— ফিলিপ কেঁদেছিল কেন?
উঃ ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধে স্পেনের সামরিক শক্তির মেরুদণ্ড আর্মাডা রণবহর ডুবে গিয়েছিল বলে।
প্রশ্নঃ সরল বাক্যে কটি উদ্দেশ্য ও বিধেয় থাকে?
উঃ একটি উদ্দেশ্য ও একটি বিধেয় পদ থাকে।
প্রশ্নঃ ন্যূনতম শব্দজোড় বলতে কী বোঝ?
উঃ দুটি ভিন্ন শব্দের মধ্যে ন্যূনতম পার্থক্য থাকলে তাকে বলা হয় ন্যূনতম শব্দজোড়। যেমন— কালো-ভালো।
প্রশ্নঃ ‘সবুজের অনটন ঘটে’— কোথায়, কেন সবুজের অনটন ঘটে?
উঃ শহরে, নির্বিচারে গাছ কাটার জন্য।
প্রশ্নঃ রূপমূলের দুটি শ্রেণির উল্লেখ কর।
উঃ স্বাধীন এবং পরাধীন হল রূপমূলের দুটি শ্রেণি।
প্রশ্নঃ ফাঁপি কাকে বলে?
উঃ পৌষ মাসে বৃষ্টির সঙ্গে জোড়ালো বাতাস বইলে গ্রামের মানুষ তাকে ফাঁপি বলে।
প্রশ্নঃ ‘এ গল্প সবাই শুনেছে’— কী গল্প?
উঃ কলকাতায় বাসিনী যে বাড়িতে কাজ করে সেই বাড়িতে ফেলানো ভাতের গল্প।
প্রশ্নঃ সুন্দর বাদামী হরিণ চিতা বাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে কোন-কোন বনে ঘুরেছিল?
উঃ নক্ষত্রহীন মেহগনির মতো অন্ধকারের সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরেছিল।
প্রশ্নঃ ‘সোনা ঝকঝকে লিসা কারা বানিয়েছিল?’— লিসা কী?
উঃ লিসা হল পেরুর রাজধানী।
প্রশ্নঃ হাসান আব্দালের বর্তমান নাম কী?
উঃ পাঞ্জাসাহেব।
প্রশ্নঃ কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন কেন?
উঃ জীবন কখনো একরঙা নয়। প্রতিনিয়ত প্রবল বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হয় বলে এ জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন।
প্রশ্নঃ ‘একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য’— এই উল্লাস কিসের?
উঃ জীবনকে উপভোগ করবার উল্লাস।
প্রশ্নঃ ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবির বিবেক কী বলতে চাইছে?
উঃ কবির বিবেক বারুদের বিস্ফোরণের মতো বিক্ষোভে ফেটে পড়তে চায়, বিধির বিচার চেয়ে কালক্ষেপ করতে চায় না।
প্রশ্নঃ ‘বইয়ে লেখে রাজার নাম’— কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি?
উঃ শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে সভ্যতার বিজয়রথ এগিয়ে চলে অথচ নাম হয় রাজার।
প্রশ্নঃ গুরু নানক ঘুরতে-ঘুরতে কোথায় এসেছিলেন?
উঃ হাসান আব্দালের জঙ্গলে।
প্রশ্নঃ ‘কী অমর’ এবার হাসি পাচ্ছে?— কোন ঘটনা প্রসঙ্গে এই জিজ্ঞাসা?
উঃ সার্জেন্ট ফায়ার বলয়ে পুলিশ কল্পিত বন্দুক দিয়ে ফায়ার করে। একটি ছেলে ও মেয়ে চিৎকার করে পড়ে যায়। সেই মৃত্যু দেখে শম্ভু মিত্রের এই জিজ্ঞাসা।
প্রশ্নঃ ততোধিক রূপমূলের সমবায়কে কী বলা হয়?
উঃ জটিল রূপমূল
প্রশ্নঃ ‘এসব কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়’— কোন কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়?
উঃ রান্না হয়ে গেছে।
প্রশ্নঃ ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার সময়কাল লেখো।
উঃ ১৯৪১ সাল।
প্রশ্নঃ ‘তাই বলি’— কী বলা হয়?
উঃ গাছ তুলে এনে বাগান বসাও।
প্রশ্নঃ ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উঃ শঙ্খ ঘোষের ‘বহুল দেবতা বহুস্বর’।
প্রশ্নঃ ‘সাকা’ কী?
উঃ বিপ্লবীদের উপর অত্যাচারের প্রাসাদে অরন্ধন।
প্রশ্নঃ ‘তারা এসব মানবে কেন?’— কারা, কী মানবে না?
উঃ ইংরেজ শিক্ষিত, রুচিমান দর্শক, শুধুমাত্র দৈহিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাট্যাভিনয় মানবে না।
প্রশ্নঃ ‘বিশ্বাস করো কালীনাথ’— কী বিশ্বাস করার কথা বলা হয়েছে?
উঃ রজনী সদ্বংশের সন্তান এবং তাঁর দেহে বইছে পবিত্র রক্ত।
প্রশ্নঃ ‘লোকের মুখে শুনলাম’— লোকের মুখে কী শুনেছিলেন?
উঃ চাঁদ আকাশে।
প্রশ্নঃ শ্বাসঘাত কাকে বলে?
উঃ শব্দের আদি অক্ষরে জোর দেওয়া।
প্রশ্নঃ মুনিস শব্দটির আদি ও পরিবর্তিত অর্থ নির্ণয় করো এবং পরিবর্তনের ধারা উল্লেখ করো।
উঃ মুনিস শব্দটি মনুষ্য বা মানুষ থেকে এসেছে। বর্তমানে ‘মজুর’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এখানে শব্দের সংকোচন ঘটেছে।
প্রশ্নঃ নিখিল অবসর জীবনটা কাটাতে চেয়েছিল কীভাবে?
উঃ বই পড়ে এবং একটা চিন্তা জগত গড়ে তুলে।
প্রশ্নঃ ‘শিকার’ কবিতায় উল্লেখিত নদীর জলের রঙ কেমন?
উঃ মচকা ফুলের পাপড়ির মতো লাল।