শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির নিয়মে বদলের ভাবনা

1503
0
D.EL.ED.

নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যের সর্বত্র শিক্ষক দিবস পালিত হল। ১৯৬২ সাল থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি-শিক্ষক সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ-এর জন্মদিনটিকে স্মরণে রেখে এই শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে চলেছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারের শিক্ষক দিবসের এক সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, দূর-দূরান্তে পড়াতে যাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজ জেলাতেই শিক্ষকতা করার সুযোগ পাবেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজ জেলায় বা পাশাপাশি জেলাতেই নিয়োগ করা হবে। বদলি বিধিতেও পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। দেখা গিয়েছে একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা অনেক দূরে স্কুলে পড়াতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বা পড়ানোর যথেষ্ট সময় পান না। আবার অনেক শিক্ষিকাকেও নিজ জেলা ছেড়ে দূর-দূরান্তে পড়াতে যেতে হয়। নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেসব সমস্যা দূর করতে শিক্ষিকারা যাতে স্বামীদের কর্মক্ষেত্রের কাছাকাছি কোনো স্কুলে পড়ানোর সুযোগ পান সে বিষয়েও নজর দেওয়া হবে। তেমনই অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে মা বাবা যেখানে বসবাস করছেন সেই জেলায় পোস্টিং পাবেন।

ইতিমধ্যে প্রাথমিক স্কুল স্তরে ৩৮ হাজার শিক্ষ-শিক্ষিকাকে বদলির আওতায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাধ্যমিক সমস্ত স্তরেই এই নয়া প্রয়োগ পদ্ধতি কার্যকর হবে, তবে আপাতত এই সুযোগ বেশিমাত্রায় পাবেন শিক্ষিকারাই। পরে ধাপে-ধাপে কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও বদলির নিয়মবিধি পালটে নিজের-নিজের জেলাতেই যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষকতা করতে পারানে তার প্রক্রিয়া চলছে। স্কুল ও কলেজ স্তরের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম ধাপে-ধাপে কার্যকর হবে। প্রথমে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই এই বিধি বলবত হবে এবং তবে অগ্রাধিকার পাবেন শিক্ষিকারাই। যেসব জেলায় পড়ানোর মতো নিজের উপযুক্ত বিষয় মিলবে না সে ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কাছাকাছি পাশ্ববর্তী জেলায় সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য, মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা বদলি চেয়ে হাজার-হাজার আবেদন জমা পড়ে এবং এই সমস্যা দিন-দিন প্রকট হয়ে উঠছে। এই অজস্র বদলির আবেদন খতিয়ে দেখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় শিক্ষা দপ্তরের একাংশকে। পোস্টিংয়ের নিয়মবিধি পালটে এবার নতুন করে নিয়োগ বিধি চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে শিক্ষাবিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়মবিধি বলবৎ হবে না।