সাধারণ গ্র্যাজুয়েট নয়, এমবিএ চাইবে ৮০ শতাংশ কোম্পানি

990
0

অনেকেরই উচ্চমাধ্যমিকের পর ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডিপ্লোমার দিকে যাওয়া হয় না। তাঁরা সাধারণত কোনো একটি বিষয় নিয়ে স্নাতক কোর্স পড়াশুনা করে থাকেন। ঠিক এই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় একটি চিন্তা থাকে যে ডিগ্রি কোর্স পড়ার পর যদি সরকারি চাকরি না হয়, তাহলে বেসরকারি ক্ষেত্রে বা কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে উচ্চপদে কাজের সুযোগ কি তাঁরা পেতে পারেন?

কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে কাজের সুযোগ পাবার চাহিদা প্রায় সবার মধ্যে থাকে। আবার উল্টো দিক থেকে দেখলে কর্পোরেট কোম্পানিগুলিও চাইছে, তাদের কাছে সাধারণ ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছেলে-মেয়ে না এসে একটু ভালো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছেলে-মেয়ে আসুক, যারা প্রতিযোগিতার বাজারে তাদের বুদ্ধি ও পরিশ্রমের সাহায্যে কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

ঠিক এইখানেই আসছে একটি চমকপ্রদ তথ্য। গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন কাউন্সিলের কর্পোরেট রিক্রুটমেন্ট সার্ভে রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ থেকেই দেশের ৮০ শতাংশ কর্পোরেট কোম্পানিগুলি শুধুমাত্র স্নাতক যোগ্যতার জায়গায় ম্যানেজমেন্ট স্নাতক বা সোজা কোথায় এমবিএ পাশ ছেলে-মেয়ে চাইছে।

একজন সাধারণ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এবং একজন এমবিএ স্নাতকের মধ্যে বিজনেস বা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজে দক্ষতার ক্ষেত্রে অনেকটাই পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। সে কারণে কোম্পানির দিক থেকেও মিনিয়াম ওয়েজেস বা ন্যূনতম বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ের দিকেও আলাদা সুবিধা দিতে রাজি কোম্পানিগুলি। সমীক্ষা বলছে, যে সমস্ত কোম্পানি এই এমবিএ প্রাথীদের বিষয়ে বেশি আগ্রহী তাদের মধ্যে প্রায় ৫১ শতাংশ কোম্পানিই বেসিক স্যালারি লেভেল বাড়াতে আগ্রহী।

তাই সাধারণ স্নাতক প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আগামী বছরগুলিতে যাঁরা কর্পোরেট কোম্পানিগুলিতে জায়গা খুঁজছেন  বা একটু ভালো বেসরকারি কোম্পানিতে কাজের সুযোগ চাইছেন, তাঁরা ম্যানেজমেন্ট কোর্স পড়লে সুফল পাবেন।

মূলত স্নাতক স্তরে ৫০-৫৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) নিয়ে পড়শোনা করা যেতে পারে।  ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট  অব ম্যানেজমেন্ট-এ ভর্তির জন্য অবশ্য “ম্যানেজমেন্ট  অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট” বা “ম্যাট” উত্তীর্ণ হতে হবে। বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়ার আগে কিন্তু অনেকগুলি ভাগ আছে, যেমন ফিনান্স, অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফিনান্স, এইচআর ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। আপনি শুরুতেই যে-কোনো একটি শাখা বা স্ট্রিম বেছে নিতে পারেন। ম্যাটের মতোই আছে জ্যাট, ক্যাট, জিম্যাট, সিম্যাট, এনম্যাট ইত্যাদি নানা পরীক্ষার ব্যবস্থাও আছে। তবে কাদের পরীক্ষার স্কোর কোথায়-কোথায় গ্রাহ্য হয় সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার।