মধ্যমেধার ছাত্রছাত্রীরাও সরকারি চাকরিতে সাফল্য লাভ করতে পারে

465
0
Govt Jobs 2024

সরকারি চাকরি মানেই নিরাপত্তা ও উৎকণ্ঠাহীন নিশ্চিত ভবিষ্যত। তাই সরকারি চাকরির সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে চান না। বর্তমানে দেখা গিয়েছে এমএ, বিএড করেও অনেকেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শুধু এমএ, এমএসসি ডিগ্রিধারীই নয়, এমনকি বিটেক বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভিন্ন শাখায় পড়েও সরকারি চাকরিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।

এখানেই বলার, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এমন কিছু চাকরি আছে যেগুলিতে শুধুমাত্র সাধারণ গ্র্যাজুয়েট বা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেই পরীক্ষায় বসা যায় এবং সফল হয়ে একজন প্রশাসনের অংশীদার হয়ে কাজ করা যায়।

গ্র্যাজুয়েশন করে বা উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে অনেকেই একজন ডব্লিউবিসিএস হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। অনেকেই তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছন।

সরকারি চাকরির বেতন ও সুযোগ সুবিধা এখন অনেক। এই সুযোগ সুবিধা যে কেউ অর্জন করতে পারেন। সাধারণ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বা এমনকি ক্লাসে পিছিয়ে পড়া বা একদম সাধারণ রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীরাও সরকারি চাকরি পেয়ে নিজেদের ভবিষ্যতকে সুনিশ্চিত করতে পারেন।

যদি তাঁরা তাঁদের লক্ষ্য স্থির করে নেন। ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, ডাক বিভাগ থেকে শুরু করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বহু চাকরির যোগ্যতামান উচ্চমাধ্যমিক।

তাই লক্ষ্য স্থির করে ডিগ্রির পিছনে না ছুটে এখন থেকেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া উচিত।

সরকারি চাকরির ভালো প্রশিক্ষণ দেয় এমন একটা বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লক্ষ্য জয়ের লড়াই চালিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই। শুধু নিজেকে মানসিক ভাবে তৈরি করে নিতে হবে।

লক্ষ্য স্থির করে নিয়ে সঠিক সিলেবাস ধরে কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় নিজের চেষ্টায় সফল হওয়া সম্ভব হয়ত নাও হতে পারা যায়, কারণ সরকারি চাকরির পরীক্ষার একটা নির্দিষ্ট টেকনিক আছে।

সেটা জানা খুবই দরকার। কী পড়ব কতটা পড়ব। সেখানে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পরামর্শ খুব কাজে দেয়। ছাত্রছাত্রীদের কাছে সব থেকে বড় বিষয় হল কোন পরীক্ষার কী সিলেবাস।

সরকারি চাকরির যে-কোনো পরীক্ষারই সঠিক সিলেবাস জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ভাবে সিলেবাস চর্চা না করলে পুরো সিলেবাস করায়ত্ত করা সম্ভব হয় না। সেখানেই অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী মাঝপথে হতাশ হয়ে পড়েন।

প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন হয় কী পড়ব, কী করে পড়লে দ্রুত সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব। যাকে আধুনিক সময়ে বলা হচ্ছে ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট।

অনেক সময় সব প্রশ্নের উত্তর জেনেও পরীক্ষার হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেকেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। সেখানে সময় ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত জরুরি। আর এই ধরনের টেকনিকগুলোই ধরিয়ে দেন দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

তাই সময় নষ্ট না করে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পরামর্শ নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তারই পাশাপাশি অনলাইনেও এখন বিভিন্নভাবে সরকারি চাকরির পড়াশোনার অনুশীলন করা যায়।

তারও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তাই সরকারি চাকরির জন্য মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেও পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।

সঠিক ভাবে নিজেকে তৈরি করতে পারলে সাফল্য পাওয়া মোটেই কঠিন নয়। নিয়মিত পড়া অনুশীলন ও মনের দৃঢ়তাই সাফল্য এনে দিতে পারে।