ভারতীয় নৌবাহিনীতে ম্যাট্রিক রিক্রুটমেন্ট এপ্রিল ২০২০ ব্যাচে ট্রেনিং দিয়ে ৪০০ স্টুয়ার্ড, শেফ এবং হাইজিনিস্ট নিয়োগ করা হবে। আবেদন করতে পারেন নিচের মতো যোগ্যতার অবিবাহিত পুরুষরা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক পাশ।
বয়সসীমা: জন্মতারিখ হতে হবে ১ এপ্রিল ২০০০ থেকে ৩১ মার্চ ২০০৩-এর মধ্যে (উভয় দিন ধরে)।
বেতনক্রম: ট্রেনিং চলাকালীন প্রতি মাসে ১৪৬০০ টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। ট্রেনিং শেষে মূল বেতনক্রম হবে ২১৭০০-৬৯১০০ টাকা। সঙ্গে ৫২০০ টাকা মিলিটারি সার্ভিস পে এবং ডিএ। র্যাঙ্কে উন্নতির সঙ্গে বেতনক্রম বাড়বে।
প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: লিখিত পরীক্ষা, শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা এবং ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বর, ৫০ প্রশ্নের, মোট ৩০ মিনিটের। দুই পেপারের: সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স ও জেনারেল নলেজ। সব বিভাগে সফল হতে হবে। নেগেটিভ মার্কিং থাকবে, প্রতি ভুলের জন্য খোয়া যাবে ০.২৫ নম্বর। পরীক্ষার সিলেবাস দশম শ্রেণির মানের, পাওয়া যাবে নিচের ওয়েবসাইটে। লিখিত পরীক্ষার সফল প্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা ও ডাক্তারি পরীক্ষা হবে। শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষায় থাকবে ১.৬ কিমি দেড়নো ৭ মিনিটে, ২০টা ওঠ-বস, ১০টা পুশ-আপ। লিখিত পরীক্ষার ফল বেরোবে পরীক্ষা হওয়ার মোটামুটি ৩০ দিন পর। মোট শূন্যপদের ৪ গুণ প্রার্থীকে সফল বলে ঘোষণা করা হবে, তাঁরাই শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে পারবেন।
শারীরিক মাপজোক: খেলাধূলা, সাঁতার ও পাঠ্যাতিরিক্ত ক্রিয়াকলাপে দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয়। ন্যূনতম উচ্চতা দরকার ১৫৭ সেন্টিমিটার। সেই সঙ্গ উপযুক্ত বুকের ছাতির মাপ ও বয়স অনুযায়ী ওজন থাকতে হবে। বুকের ছাতি অন্তত ৫ সেমি ফোলাতে হবে। ভাঙা হাঁটু, চ্যাটালো পায়ের পাতা ইত্যাদি কোনোরকম শারীরিক বা মানসিক ক্রুটি বা এই কাজের পক্ষে অসুবিধাজনক কোনো রোগব্যাধি থাকলেও আবেদন করা যাবে না। দৃষ্টিশক্তি চশমা ছাড়া ভালো চোখে ৬/৬ ও খারাপ চোখে ৬/৯ এবং চশমা সহ ভালো ও খারাপ চোখে ৬/৬। বর্ণান্ধ বা রাতকানা হলে আবেদন করা যাবে না।
ট্রেনিং: প্রশিক্ষণ শুরু হবে এপ্রিল ২০২০ থেকে। ১৫ সপ্তাহের বেসিক ট্রেনিং হবে আইএনএস চিল্কাতে।
পরীক্ষার ফি: ২০৫ টাকা, দিতে হবে নেট ব্যাঙ্কিং বা রুপে ডেবিট/ ক্রেডিট/ মাস্টার/ ভিসা কার্ড/ ইউপিআইয়ের মাধ্যমে। তপশিলিদের কোনো ফি দিতে হবে না, যদিও তাঁদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষণ নেই।
আবেদনের পদ্ধতি: আবেদন করতে হবে অনলাইনে। www.joinindiannavy.gov.in ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ওয়েবসাইটের হোম পেজে নিজের ইমেল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হবে, তারপর ইমেল আইডি দিয়ে লগইন করে কারেন্ট অপরচুনিটিজ লিঙ্কে Apply বাটনে ক্লিক করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার আগে নিজের একটি পাসপোর্ট মাপের ছবি (তিন মাসের মধ্যে নীল ব্র্যাকগ্রাউন্ডে তোলা) স্ক্যান করে রাখবেন। ফর্ম ফিলাপ হয়ে গেলে ভালো করে মিলিয়ে নেবার পর তবেই সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন। সাবমিট করা হয়ে গেলে আর কোনো বদল করা যাবে না। অনলাইনে ফর্ম জমা দেওয়ার পর সিস্টেম জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার দেওয়া ফর্ম ডাউনলোড করে দুকপি প্রিন্ট নেবেন। অনলাইন আবেদন করা যাবে ১ আগস্ট ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা যাবে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে।