ফের মাদ্রাসা নিয়োগ নিয়ে জটিলতা। দেশের শীর্ষ আদালত মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হল।
শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ গত সোমবার যে রায় দিয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী সলমন খুরশিদ এই পিটিশন দাখিল করেছেন। শীর্ষ আদালতের পূর্ববর্তী রায় অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা ম্যানেজমেন্ট কমিটি মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে, এই পয়েন্টের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালত দুদিন আগেই একটি রায় দিয়ে জানিয়েছে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বৈধ এবং এর মাধ্যমেই পরবর্তীকালে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। তাতে মাদ্রসা সার্ভিস কমিশন ও মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় ২৬০০ পদে শিক্ষক নিয়োগের রাস্তা খুলে যায়, যা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাপ্রাপ্ত রাজ্যের ৬১৪টি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের অধিকার ছিল সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাগুলির পরিচালন কমিটির৷ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে ২০১৩ সালে মামলা করে কাঁথি রহমানিয়া মাদ্রাসা পরিচালন কমিটি ও অন্যরা৷ ২০১৪-র ১২ মার্চ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ও ২০১৫-র ৯ ডিসেম্বর ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে ও কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ মাদ্রাসা কমিটির উপরেই ছেড়ে দেয়৷ এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম। রাজ্য সরকারও মামলা দায়ের করে। এতদিনে মামলার রায় ধরে রাখা হয়েছিল, গত সোমবার রায় দিয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ও কমিশন গঠন ও নিয়োগ সংক্রান্ত আইনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়, তারপরেই দাখিল হয় রিভিউ পিটিশন।